বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সেকেন্ডহ্যান্ড (পুরনো) রাউটার ব্যবহার করেছে। নতুন অবস্থায় এর দাম মাত্র ১০ ডলার।
এই পুরনো ও কমদামী রাউটারের কারণে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বাংলাদেশ।
সিআইডির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১০ ডলারের পুরনো রাউটারটির কারণে বিপুল পরিমাণ টাকা হারিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভের নিরাপত্তা দিতে ব্যবহার করা হয়নি পৃথক কোনো পার্টিশনও। ফলে হ্যাকাররা সহজেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি করতে পেরেছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইডি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো উন্নত ফায়ারওয়্যাল (নিরাপত্তাব্যূহ) সিস্টেম ছিল না। অথচ এই ফায়ারওয়াল সিস্টেম ব্যাংক হ্যাকিংকে আরও কঠিন করতে পারত। হ্যাকিং ঠেকানো সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, সস্তা রাউটারের কারণে হ্যাকাররা সহজেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে অর্থ লুট করেছে। এখনও ওই রাউটারের জন্যই তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কেননা এটা খুব বেশি তথ্য দিতে পারছে না। ফলে আমরা হ্যাকারদের কৌশল সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে পারছি না।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে।
এরপর ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যাংক অফিস অব দ্য ডিলিং রুমের যুগ্ম পরিচালক যোবায়ের বিন হুদা এ ঘটনায় মামরা দায়ের করেন। এই অর্থ চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।